ভাষা ও সংস্কৃতি
বৃহত্তর সিলেট জেলার অন্তর্গত হলেও হবিগঞ্জের ভাষায় সিলেটী ভাষার বৈশিষ্ট্য প্রায় আশি ভাগই নাই বলা যায়। উল্লেখ্য, সিলেট থেকে প্রায় আশি মাইল দূরে হবিগঞ্জ জেলা শহর অবস্থিত এবং সে দূরত্বের কারণেই এই দু ’ জেলার ভাষা রীতির মধ্যে কিছুটা প্রায় আকাশ মাটি পার্থক্য। যদিও হবিগঞ্জ প্রায় শতাব্দীকাল সিলেট জেলাধীন মহকুমারূপে তৎপ্রশাসনিক ঘর করেছে, কিন্তু নিজের ভাষা ত্যাগ করে সে পরের ভাষা কখনো গ্রহণ করেনি। এটা হবিগঞ্জের ভাষা ঐতিহ্যের একটা বিশেষ লক্ষনীয় ও গৌরবময় দিক। এখানে উল্লেখ প্রয়োজন, বাইর জেলার লোকরা হবিগঞ্জের লোকের মুখের ভাষা শুনে আবাক হয়। কারণ প্রাক্তন সিলেট বা বৃহত্তর সিলেট জেলাধীন হওয়া সত্ত্বেও হবিগঞ্জের ভাষায় সিলেটী বৈশিষ্ঠ প্রায় একেবারেই নেই।
এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, হবিগঞ্জ জেলার একদিকে বৃহত্তর ময়মনসিংহের কিশোরগঞ্জ ও নেত্রকোণা জেলা। এই জেলা দুটির পার্শ্বেই হবিগঞ্জ জেলার বিরাট বিরাট হাওর ও হাওরাঞ্চল। অতীতকালে নৌ-যোগাযোগের প্রাধান্যের কারণে হাওর ও হাওরাঞ্চলে সাহিত্য ও সংস্কৃতির বিকাশ ধারায় হবিগঞ্জের হাওরাঞ্চলে যাত্রার পালাগান, জারিগান, কাহিনীকাব্য, পাঁচালী প্রভৃতির উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে। এই প্রসঙ্গে ময়মনসিংহের কথা স্মর্তব্য। বস্ত্ততঃ হবিগঞ্জের নিষ্ক্রিয়তা ও উদাসীনতার কারণেই এই অঞ্চলের সমৃদ্ধ অনেক গান, গীতিকা, পালা প্রভৃতি হরণ করে নিয়ে ময়মনসিংহ গীতিকা, পূর্ববঙ্গ গীতিকা প্রভৃতিতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।
ঐরূপ ঐতিহাসিক যুক্তি ও প্রমাণ দ্বারা ইহা সন্দেহাতীতভাবে প্রতিষ্ঠিত করা যায় যে, হবিগঞ্জের ভাষা একটি ঐতিহ্যশালী ও গৌরবমন্ডিত ভাষা। ভাষাতত্ত্বের বিভিন্ন দিক বিশ্লেষণ দ্বারা হবিগঞ্জের লোকমুখে প্রচলিত ভাষাকে অনায়াসে একটি ব্যাকরণ বিধিবদ্ধ আঞ্চলিক ভাষারূপে চিহ্নিত ও প্রন্থভূক্ত করা যেতে পারে।
হবিগঞ্জের সাংস্কৃতিক সংগঠনসমূহ-
০১। বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট, হবিগঞ্জ।
০২। খেলাঘর আসর, হবিগঞ্জ।
০৩। সাংস্কৃতিক পরিষদ, হবিগঞ্জ।
০৪। খোয়াই থিয়েটার, হবিগঞ্জ।
০৫। উদীচী শিল্পীগোষ্ঠী, হবিগঞ্জ।
০৬। সুরবিতান ললিতকলা একাডেমী, হবিগঞ্জ।
০৭। জীবন সংকেত নাট্যগোষ্ঠী, হবিগঞ্জ।
০৮। নাট্যমেলা, হবিগঞ্জ।
০৯। শিল্পী সংস্থা, হবিগঞ্জ।
১০। জাতীয় রবীন্দ্র সংগীত সম্মেলন পরিষদ, হবিগঞ্জ(ছায়ানট)।
১১। নজরুল একাডেমী, হবিগঞ্জ শাখা।
(রেফারেন্স: শিক্ষা ও কল্যাণ শাখা, জেলা প্রশাসকের কার্যালয়, হবিগঞ্জ)
পরিকল্পনা ও বাস্তবায়নে: মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ, এটুআই, বিসিসি, ডিওআইসিটি ও বেসিস